+8801709377315 [email protected]

Login

Sign Up

After creating an account, you'll be able to track your payment status, track the confirmation and you can also rate the tour after you finished the tour.
Username*
Password*
Confirm Password*
First Name*
Last Name*
Email*
Phone*
Country*
* Creating an account means you're okay with our Terms of Service and Privacy Statement.

Already a member?

Login

+8801709377315 [email protected]

Login

Sign Up

After creating an account, you'll be able to track your payment status, track the confirmation and you can also rate the tour after you finished the tour.
Username*
Password*
Confirm Password*
First Name*
Last Name*
Email*
Phone*
Country*
* Creating an account means you're okay with our Terms of Service and Privacy Statement.

Already a member?

Login

ঘুরে আসুন আনন্দ নগরী খ্যাত কলকাতা | কোথায় যাবেন, কেমন খরচ ও অন্যান্য তথ্য

মহিনের ঘোড়াগুলি যেমন গেয়ে গেছেন, ‘…স্মৃতির ভিতর ট্রামের ধ্বনি বিবাগী সুর গড়ে….’’, কলকাতা যেন ঠিক তেমনি। চার অক্ষরের নামটা মনে আসলেই ভেসে ওঠে টানা রিক্সা, ট্রামের শব্দ কিংবা হলদে ট্যাক্সি। দীর্ঘ দিনের পথচলায় এই শহরটা হয়ে যেন হয়ে উঠেছে একটা বিশেষ ঐতিহ্যের ধারক। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই কলকাতা যেন শুধু একটা শহরই না, একটা জীবনধারা, একটা আবেগ যা প্রায় জীবন্তই বলা চলে!

কলকাতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

সংক্ষিপ্ত বললেও কলকাতার ইতিহাস আসলে অনেক বিস্তারিত। শুরু হয় সেই ১৬৯০ সালে যখন তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এজেন্ট জব চারনক অনেক চিন্তা ভাবনার পর এই এলাকাটিকে তাদের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু বানানোর কথা ভাবেন। এ লক্ষ্যে সুতানুটি, গোবিন্দপুর এবং কালিকাটা নামে তিনটি গ্রাম তাঁরা কিনে নেন স্থানীয় জমিদারদের কাছ থেকে।

মুঘলরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্যাবসা করার স্বাধীনতা দেন বাৎসরিক ৩০০০ রুপির বিনিময়ে। এরপর ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতা দখল করে নেন। কিন্তু বেশিদিন তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের পর লর্ড ক্লাইভ কলকাতার দখল নিয়ে নেন। ১৭৭২ সালে কলকাতাকে ভারতবর্ষের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রথম গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টীং সকল গুরুত্বপূর্ণ অফিস মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করেন। তখন থেকেই সমগ্র ভারতবর্ষে কলকাতার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। পরবর্তী প্রায় ১৩৯ বছর ভারতবর্ষের রাজধানী হিসেবে কলকাতা থেকে যায়।

পুরনো দিনের এসপ্ল্যানেড

প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতেই পারছেন যে বর্তমান ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, এই তিনের রাজধানী ছিল কলকাতা। তাই এর গুরুত্ব সহজেই অনুমান করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতা ও গুরুত্তের শীর্ষে অবস্থান করেছে এই শহর। হয়েছে অনেক ঘটনারই সাক্ষী। “আনন্দ নগরী” নামে পরিচিত কলকাতা- মাদার টেরেজা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায় এবং সুভাষ চন্দ্র বোস এবং আরও অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তির পদচারনায় মুখরিত হয়েছে। কালজয়ী এই শহর ধীরে ধীরে পরিনত হয়েছে বাংলা সংস্কৃতির বিশিষ্ট প্রতিনিধি হিসেবে। এই শহর যদি ভ্রমণ না করা হয়, বাঙ্গালি হিসেবে আপনার জীবন কিছুটা না, অনেকটাই অপূর্ণ থেকে যাবে।

কখন বেড়াতে যাবেন কলকাতা

কলকাতা না গেলেও এর আবহাওয়া সম্পর্কে অনেকেই ধারণা করতে পারেন এ ভৌগলিক অবস্থান থেকে। কলকাতার আবহাওয়া বেশ গরমই বলা চলে। এখানে প্রধানত তিনটি ঋতু বিরাজ করে – গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীত। গ্রীষ্ম কাল শুরু হয় এপ্রিল এবং শেষ হয় জুন মাসে। গরমে তাপমাত্রা প্রায় ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি চলে যায়। তাই এ সময়ে ভ্রমণ করাটা বেশ কঠিনই হয়ে যায়। তাই এই ঋতু এড়িয়ে চলাই ভাল। কলকাতা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভাল সময় হল বর্ষাকাল (জুলাই – সেপ্টেম্বর) এবং শীতকাল (অক্টোবর – ফেব্রুয়ারি)। বর্ষাকালে তাপমাত্রা থাকে ২০-২৫ ডিগ্রি যা খুবই আরামদায়ক। শীতকালে তাপমাত্রা নেমে যায় ৯-১১ ডিগ্রিতে। তারমানে একেবারে হাড় কাঁপানো শীতও পরবে না। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে গেলে বেশ আরামদায়ক পরিবেশেই কলকাতা ভ্রমণ করতে পারবেন।

কলকাতা ভ্রমণ

দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার সেটা হচ্ছে বৈধ পাসপোর্ট। ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই পাসপোর্ট করে রাখা ভাল। আপনার যদি পাসপোর্ট না করা থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দেশনা অনুসরণ করুনঃ  http://www.passport.gov.bd/

কোন সমস্যা বা  প্রশ্নের সম্মুখিন হলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন, আমরা সাধ্যমত সাহায্য করব পাসপোর্টে কমপক্ষে ৩-৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে এবং ভিসার জন্য পাসপোর্টের কমপক্ষে দুই পেইজ খালি থাকতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হলে এই লিংক ভিজিট করুন http://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/

 

  • ভিসার জন্যও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
  • পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ফটোকপি।
  • ই-টোকেন এবং ই-টোকেনের ফটোকপি।
  • অফিস প্যাডে কভার লেটার এবং ভিজিটিং কার্ড
  • সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের এককপি ফটো।
  • ডলার এন্ড্রোসমেন্ট অথবা ব্যাংক স্টেটম্যান্ট ।
  • টেলিফোন বিল অথবা ইলেক্ট্রিক বিলের ফটোকপি।
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • ব্যাংকের কোনো কার্ড থাকলে ফটোকপি দিতে পারেন (যদি থাকে)।
  • ভিসা ফি হিসেবে খরচ হবে মাত্র ৮৩০/- টাকা।

কিভাবে যাবেন কলকাতা

প্রতিবেশী দেশের শহর; ঢাকা থেকে দূরত্ব বলতে গেলে ৩০০ কিলোমিটারের কিছু বেশী। তাই বিভিন্নভাবেই যাওয়া যায়। যদি একটু আরামের সাথে ভ্রমণ করতে চান তাহলে বিমানে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে কলকাতা রুটটি অনেক ব্যাস্ত একটি রুট। প্রতিদিন প্রচুর লোক যাওয়া আসা করে থাকেন। তাই ফ্লাইটের সংখ্যাও বেশী আবার প্রতিযোগিতাও বেশী। ভাল হয় যদি আপনি যাত্রার বেশ আগে থেকেই টিকিট বুকিং করে রাখেন। তাতে খরচ কিছু কম ও হতে পারে।

ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে পারবেন বাংলাদেশ বিমান, স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া অথবা জেট এয়ারওয়েজ এ। এছাড়া দেশী বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে রিজেনট এয়ারওয়েজ, নভো এয়ার, ইউ এস বাংলা ইত্যাদি। এই বিমানগুলোতে কলকাতা গেলে খরচ অপেক্ষাকৃত কম হবে (বাংলাদেশী টাকায় ৫,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা)। এছাড়া আরও বিমান সংস্থা যেমন থাই এয়ার, শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ইত্যাদিতেও কলকাতা যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে একটু বেশী টাকা গুনতে হবে আপনাকে।

আগেই বলেছি টিকিট আগাম কেটে রাখলে বেশী সুবিধা পাবেন। তবে এজন্যে আপনাকে বিমান অফিস বা ট্রাভেল এজন্সিতে দৌড়ানোর প্রয়োজন হবে না। অনলাইনেই টিকিট কাটতে পারবেন আমাদের কাছ থেকে।

হটলাইন: ০১৯৪৭ ০০৮ ০০৮ (Whatsapp/imo)
অফিস: ০১৯৫৮ ৪৯৩ ২০০
Email: [email protected]
Website: www.ahammodtours.com

Leave a Reply

Subscribe us